মালদহ ঃ বাড়ির পাশের মক্তব থেকে পড়াশোনা করে ফেরার পথে ছাত্রীকে কটূক্তি।এর জেরে দুই পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয় সংঘর্ষ।উভয় পক্ষের আহত একাধিক।গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রী পক্ষের পাঁচজনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পীরগঞ্জ গ্রামে। অভিযোগ উঠেছে সুরত রজক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই গ্রামের বাসিন্দা তসলিম রজকের মেয়ে চান্দিনি খাতুন(১৬)এদিন সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের মক্তব থেকে পড়াশোনা করে বাড়ি ফিরছিলেন।অভিযোগ,সুরত রজকের ছেলে রাহুল রজক(১৮)তাকে নোংরা ভাষায় কটুক্তি করেন।চান্দিনি খাতুন এই কটুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়েই শুরু হয় তর্ক।এরপর উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।শুরু হয় খন্ড যুদ্ধ।ছাত্রী পক্ষের অভিযোগ,বিবাদী সুরত রজক ও তার পরিবারের লোকেরা বাদী পক্ষের লোকেদের ধারালো অস্ত্র,লোহার রড, বাঁশ ও ভাঙা ইটের টুকরো দিয়ে বেধরক ভাবে মারধর করেছে।এতে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছে আটজন।গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে রাতেই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে।আহত হয়েছেন সাতাবুল রজক (৫০),আতাবুল রজক (৬৫),আসলাম রজক(৩০),বেবি খাতুন (২২),রেহেনা বিবি(৪৫)।এদের মধ্যে কারো মাথা ফেটে গেছে,কারো হাত বা পা ভেঙে দিয়েছে।
রেহেনা খাতুন সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।যদিও বিবাদী পক্ষ সুরত রজক ও তার পরিবারের লোকেরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারে সরাসরি অস্বীকার করেছেন।তাদের অভিযোগ,তসলিম রজকের পরিবারের লোকেরা তাদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে চড়াও হয়ে মারধর করেছে।
এই নিয়ে ছাত্রীর বাবা তসলিম রজক হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.