পাহাড়ের পাকদন্ডি পথ বেয়ে টয় ট্রেনে চেপে যদি হারিয়ে যেতে চান চা বাগানের সবুজের গালিচায় অথবা মেঘের দেশে গিয়ে দেখতে চান কাঞ্চনজঙ্ঘার সূর্যোদয় তাহলে আপনার ভ্রমনের ঠিকানা অবশ্যই দার্জিলিং। আর এই তীব্র গরমে আপনার ঠিকানা অবশ্যই হয়ে উঠবে বেলতার।
পাহাড়ের পাকদন্ডী পথে হারিয়ে যাওয়া বন পাহাড়ির দেশ। যেখানে সূর্য ওঠে পাহাড়ের খাজে মেঘের আড়াল থেকে। আর দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার। ভাবছেন ইট-কাঠের যন্ত্রণা ভুলে এই তীব্র গরমে একবার পাহাড়ে ঢু মারবেন ? টয় ট্রেনে চেপে পাড়ি দেবেন সবুজ চা বাগিচায় ? তাহলে আপনাকে আসতেই হবে চা বাগিচার পাহাড় ঘেরা সবুজ ছোট্ট গ্রাম বেলতারে।
আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামের মতন নয়,সম্পূর্ণই আলাদা এই বেলতার। শিলিগুড়ি থেকে টয়ট্রেনের চেপে কার্শিয়াং এর পরের স্টেশন টুং এ নেমে গাড়িতে করে এই গ্রামে যাওয়া যায়। অথবা শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি করে সরাসরি এই গ্রামে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়। হিলকার্ট রোড ধরে এগিয়ে টুং কাছেই চা বাগানের মধ্যে সবুজ ঘেরা গ্রাম এই বেলতার। অন্যান্য পাহাড়ি গ্রামের থেকে এই গ্রামের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে এখানকার সুদৃশ্যএকটি সুইমিং পুল। ভাবছেন পাহাড়ের ঠান্ডায় সুইমিং পুল
নামলে ঠান্ডা লেগে যাবে নাতো ? কিন্তু না
দার্জিলিং এর মতন ঠান্ডা না হলেও এখানে সারাবছরই অল্প বিস্তর ঠান্ডাই থাকে। আর সুইমিংপুল টাই এই গ্রামটার অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছে। আর পাহাড় ঘেরা এই সুইমিংপুল দেখলে যত ঠান্ডাই হোক না কেন, আপনার জলে নামতে ইচ্ছে হবেই।
যার ফলে এই বেলতারে প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই আছে। বেলতারকে আকর্ষণীয় করে তুলতে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এই বেলতারে একটি রিসোর্ট তৈরি করে। এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে এখানে অবস্থিত এক জলাশয়কে একটি সুইমিং পুলে রুপান্তরিত করে তোলে জিটিএ বা গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। ২০১৫ সালে এই রিসোর্টের উদ্বোধন হয়। এরপরেই জিটিএ রিসোর্টটি দেখভালের জন্য এক বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেয়। এখান থেকে পর্যটকরা ইচ্ছে করলেই অনায়াসে দিলারাম হয়ে বাগোরা বা কার্শিয়াং এর ডাউহিল ঘুরে আসতে পারেন। যদি কারো পাহাড়ে হাটা বা ট্রেকিং এর সখ থাকে তাহলে এখান থেকেই আশেপাশের ছোটো ছোটো গ্রামগুলি পায়ে হেঁটে ঘুরে আসা যায়। এখানকার গ্রামের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই আছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ। যা বাড়তি আকর্ষণীয় করে তুলেছে এই গ্রামকে। এছাড়াও এই গ্রামের মানুষজনের অতিথিপরায়নতা আপনাকে বারবার টেনে নিয়ে আসবে এই বেলতারে।
Leave a Reply